ইসলাম ধর্মে রোজার বিশেষ গুরুত্ব
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম। রমজান মাস জুড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, সহবাস এবং অন্যান্য কামনা-বাসনা থেকে বিরত থাকাই হলো রোজা। রোজা শুধুমাত্র ক্ষুধা ও তৃষ্ণার সংযম নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন যা মুসলমানদের আত্মসংযম, ধৈর্য, সহানুভূতি এবং ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
রোজার ফজিলত:
- আল্লাহর সন্তুষ্টি: রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
- গোনাহ মাফ: রোজা পালনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ হতে পারে।
- জান্নাত লাভ: রোজা পালনের মাধ্যমে জান্নাত লাভের সুযোগ তৈরি হয়।
- আত্মসংযম: রোজা পালনের মাধ্যমে আত্মসংযম বৃদ্ধি পায়।
- ধৈর্য: রোজা পালনের মাধ্যমে ধৈর্য বৃদ্ধি পায়।
- সহানুভূতি: রোজা পালনের মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়।
- ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা: রোজা পালনের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়।
রোজার প্রকারভেদ:
- ফরজ রোজা: রমজান মাসের রোজা ফরজ।
- কাফফারা রোজা: কোন কারণে রমজানের রোজা না রাখলে পরবর্তীতে কাফফারা রোজা রাখতে হয়।
- নফল রোজা: রমজান ছাড়া অন্যান্য মাসে রাখা রোজা নফল রোজা।
রোজার শর্ত:
- মুসলিম হওয়া: রোজা রাখার জন্য মুসলিম হওয়া আবশ্যক।
- বালেগ হওয়া: বালেগ হওয়ার পর রোজা রাখা ফরজ।
- সুস্থ হওয়া: গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির উপর রোজা ফরজ নয়।
- মুসাফির না হওয়া: দীর্ঘ যাত্রীদের উপর রোজা ফরজ নয়।
রোজার নিয়ম:
- সেহরি: ভোরের আলো ফোটার আগে সেহরি খাওয়া সুন্নত।
- নিয়ত: রোজা রাখার নিয়ত করা।
- সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত: সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, সহবাস এবং অন্যান্য কামনা-বাসনা থেকে বিরত থাকা।
- ইফতার: সূর্যাস্তের পর ইফতার করা।
রোজার ফলাফল:
- আল্লাহর সন্তুষ্টি: রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব
রোজার ফলাফল:
আধ্যাত্মিক ফলাফল:
- আল্লাহর সন্তুষ্টি: রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
- গোনাহ মাফ: রোজা পালনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ হতে পারে।
- জান্নাত লাভ: রোজা পালনের মাধ্যমে জান্নাত লাভের সুযোগ তৈরি হয়।
- আত্মসংযম: রোজা পালনের মাধ্যমে আত্মসংযম বৃদ্ধি পায়।
- ধৈর্য: রোজা পালনের মাধ্যমে ধৈর্য বৃদ্ধি পায়।
- সহানুভূতি: রোজা পালনের মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়।
- ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা: রোজা পালনের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়।
শারীরিক ফলাফল:
- ওজন কমানো: রোজা পালনের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: রোজা পালনের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: রোজা পালনের মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: রোজা পালনের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা: রোজা পালনের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ: রোজা পালনের মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- মস্তিষ্কের সুস্থতা: রোজা পালনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের সুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: রোজা পালনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
সামাজিক ফলাফল:
- সম্প্রীতি বৃদ্ধি: রোজা পালনের মাধ্যমে সমাজে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।
- দানশীলতা বৃদ্ধি: রোজা পালনের মাধ্যমে দানশীলতা বৃদ্ধি পায়।
- দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি: রোজা পালনের মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়।
দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি:
ভূমিকা:
মানবজাতির সৃষ্টির শুরু থেকেই সমাজে ধনী ও দরিদ্রের ভেদাভেদ বিদ্যমান। ধনীদের সম্পদের বিলাসিতা ও দরিদ্রদের জীবনের সংগ্রামের এই চিত্র চিরন্তন। দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা মানবতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতির কারণ:
- মানবিক দায়িত্ব: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা আমাদের সকলের মানবিক দায়িত্ব।
- সামাজিক ন্যায়বিচার: সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া জরুরি।
- সামাজিক স্থিতিশীলতা: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব।
- ঈশ্বরের সন্তুষ্টি: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের উপায়:
- দানশীলতা: দরিদ্রদের দান করা সহানুভূতি প্রদর্শনের একটি সহজ উপায়।
- স্বেচ্ছাসেবক: দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করা।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
- নীতিমালা প্রণয়ন: দরিদ্র দূরীকরণের জন্য সরকারকে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য উৎসাহিত করা।
দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতির ফলাফল:
- দরিদ্র দূরীকরণ: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সম্ভব।
- সামাজিক সম্প্রীতি: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে সমাজে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।
- মানবিক মূল্যবোধ: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটে।
- আধ্যাত্মিক উন্নয়ন: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।:
দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা আমাদের সকলের মানবিক দায়িত্ব। দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠন করতে পারি।
- স্বার্থ ত্যাগ : রোজা পালনের মাধ্যমে স্বার্থ ত্যাগ করার মানসিকতা বৃদ্ধি পায়।
স্বার্থ ত্যাগ:
ভূমিকা:
মানুষের জীবনে স্বার্থ একটি স্বাভাবিক বৃত্তি। কিন্তু সুন্দর ও সুন্দর জীবনের জন্য স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে স্বার্থ ত্যাগ করা অপরিহার্য।
স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব:
- ব্যক্তিগত উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।
- সামাজিক উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সম্ভব।
- মানসিক প্রশান্তি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি লাভ করা সম্ভব।
- আধ্যাত্মিক উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।
স্বার্থ ত্যাগের উপায়:
- পরিবারের জন্য: পরিবারের সদস্যদের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
- সমাজের জন্য: সমাজের উন্নয়নের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
- দেশের জন্য: দেশের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
- মানবতার জন্য: মানবতার কল্যাণে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
স্বার্থ ত্যাগের ফলাফল:
- আত্মিক তৃপ্তি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে অতুলনীয় আত্মিক তৃপ্তি লাভ করা সম্ভব।
- সম্মান: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে সমাজে সম্মান ও মর্যাদা লাভ করা সম্ভব।
- ভালোবাসা: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে অন্যদের ভালোবাসা অর্জন করা সম্ভব।
- ঈশ্বরের সন্তুষ্টি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
উপসংহার:
স্বার্থ ত্যাগ একটি মহৎ গুণ। স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করতে পারি। সুন্দর ও সুন্দর জীবনের জন্য সকলের উচিত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে স্বার্থ ত্যাগ করা।
উদাহরণ:
- মায়ের স্বার্থ ত্যাগ: একজন মা তার সন্তানের জন্য নিজের সকল স্বার্থ ত্যাগ করে।
- শিক্ষকের স্বার্থ ত্যাগ: একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে।
- সৈনিকের স্বার্থ ত্যাগ: একজন সৈনিক তার দেশের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে।
উক্তি:
- “স্বার্থ ত্যাগই সকল সুখের মূল।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “নিজের স্বার্থ ত্যাগ করলেই অন্যের সুখে সুখী হওয়া যায়।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আরও পড়তে:
- স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব
-
স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব:
- ভূমিকা:
- মানুষের জীবনে স্বার্থ একটি স্বাভাবিক বৃত্তি। কিন্তু সুন্দর ও সুন্দর জীবনের জন্য স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে স্বার্থ ত্যাগ করা অপরিহার্য।
-
স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব:
- ব্যক্তিগত উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।
- সামাজিক উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সম্ভব।
- মানসিক প্রশান্তি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি লাভ করা সম্ভব।
- আধ্যাত্মিক উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।
-
স্বার্থ ত্যাগের উপায়:
- পরিবারের জন্য: পরিবারের সদস্যদের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
- সমাজের জন্য: সমাজের উন্নয়নের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
- দেশের জন্য: দেশের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
- মানবতার জন্য: মানবতার কল্যাণে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
-
স্বার্থ ত্যাগের ফলাফল:
- আত্মিক তৃপ্তি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে অতুলনীয় আত্মিক তৃপ্তি লাভ করা সম্ভব।
- সম্মান: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে সমাজে সম্মান ও মর্যাদা লাভ করা সম্ভব।
- ভালোবাসা: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে অন্যদের ভালোবাসা অর্জন করা সম্ভব।
- ঈশ্বরের সন্তুষ্টি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
- উপসংহার:
- স্বার্থ ত্যাগ একটি মহৎ গুণ। স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করতে পারি। সুন্দর ও সুন্দর জীবনের জন্য সকলের উচিত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে স্বার্থ ত্যাগ করা।
-
উদাহরণ:
- মায়ের স্বার্থ ত্যাগ: একজন মা তার সন্তানের জন্য নিজের সকল স্বার্থ ত্যাগ করে।
- শিক্ষকের স্বার্থ ত্যাগ: একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে।
- সৈনিকের স্বার্থ ত্যাগ: একজন সৈনিক তার দেশের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে।
-
উক্তি:
- “স্বার্থ ত্যাগই সকল সুখের মূল।” – স্বামী বিবেকানন্দ
- “নিজের স্বার্থ ত্যাগ করলেই অন্যের সুখে সুখী হওয়া যায়।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- আরও পড়তে:
- স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব:
-
স্বার্থ ত্যাগের উপায়
পরিশেষে বলা যায়, রোজা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক, শারীরিক এবং সামাজিক অনুশীলন যা আমাদের জীবনে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ইসলামে রোজার অবস্থান ও প্রকৃতি:
ভূমিকা:
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম। রমজান মাস জুড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, সহবাস এবং অন্যান্য কামনা-বাসনা থেকে বিরত থাকাই হলো রোজা। রোজা শুধুমাত্র ক্ষুধা ও তৃষ্ণার সংযম নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন যা মুসলমানদের আত্মসংযম, ধৈর্য, সহানুভূতি এবং ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ইসলামে রোজার অবস্থান:
- ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম : রোজা ছাড়া ইসলামের পূর্ণাঙ্গতা লাভ করা সম্ভব নয়। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম:
-
ভূমিকা:
- ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ হলো:
- কালেমা: আল্লাহ্র একত্ব ও মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর রাসূলত্ব স্বীকার করা।
- নামাজ: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা।
- যাকাত: ধন-সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ দান করা।
- হজ: সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে একবার হজ্জ পালন করা।
- রোজা: রমজান মাস জুড়ে রোজা রাখা।
-
রোজার গুরুত্ব:
- রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রোজার মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হয়। রোজার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ, ধৈর্য, ত্যাগ স্বীকার ও সহানুভূতির গুণাবলী অর্জন করা সম্ভব।
-
রোজার নিয়ম:
- সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত: রমজান মাসের প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া ও সহবাস থেকে বিরত থাকা।
- নির্দিষ্ট বিষয়: মিথ্যা বলা, গীবত করা, পরনিন্দা করা, রাগ করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা।
- শারীরিক ও মানসিক शुद्धि: রোজার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক शुद्धि লাভ করা সম্ভব।
-
রোজার ফলাফল:
- গোনাহ মাফ: রোজার মাধ্যমে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ হতে পারে।
- জান্নাত: রোজার মাধ্যমে জান্নাত লাভের আশা করা সম্ভব।
- আত্মিক প্রশান্তি: রোজার মাধ্যমে আত্মিক প্রশান্তি লাভ করা সম্ভব।
- শারীরিক সুস্থতা: রোজার মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা লাভ করা সম্ভব।
-
উপসংহার:
- রোজা শুধুমাত্র একটি ইবাদত নয়, বরং এটি একটি জীবন বিধান। রোজার মাধ্যমে আমরা আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নয়ন লাভ করতে পারি।
- আরও পড়তে:
- রোজার নিয়ম: [ভুল URL সরানো হয়েছে]র-নিয়ম
- রোজার ফজিলত: [ভুল URL সরানো হয়েছে]র-ফজিলত
- উক্তি:
- “রোজা অর্ধেক ঈমান।” – হাদিস
- “রোজা হচ্ছে ঢাল, যা তোমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে।” – হাদিস
- ফরজ ইবাদত: রমজান মাসের রোজা রাখা প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য ফরজ।
- কঠিন ইবাদত: রোজা পালন করা অনেকের জন্য কঠিন হতে পারে।
- বিশেষ ফজিলত: রোজা পালনের মাধ্যমে অনেক ফজিলত অর্জন করা সম্ভব।
রোজার প্রকৃতি:
- আত্মসংযম: রোজা পালনের মাধ্যমে ক্ষুধা, তৃষ্ণা এবং অন্যান্য কামনা-বাসনার উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করা সম্ভব।
- ধৈর্য: রোজা পালনের মাধ্যমে ধৈর্য্যের গুণ বৃদ্ধি পায়।
- সহানুভূতি: রোজা পালনের মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়।
- ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা: রোজা পালনের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়।
- আধ্যাত্মিক উন্নয়ন: রোজা পালনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।
রোজার ফলাফল:
- আল্লাহর সন্তুষ্টি: রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
- গোনাহ মাফ: রোজা পালনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ হতে পারে।
- জান্নাত লাভ: রোজা পালনের মাধ্যমে জান্নাত লাভের সুযোগ তৈরি হয়।
- শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা: রোজা পালনের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা লাভ করা সম্ভব।
- সামাজিক সম্প্রীতি: রোজা পালনের মাধ্যমে সমাজে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।
রোজার নিয়ম:
- সেহরি: ভোরের আলো ফোটার আগে সেহরি খাওয়া সুন্নত।
- নিয়ত: রোজা রাখার নিয়ত করা।
- সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত: সূর্যোদয়
Top 3 Bangladeshi Matrimony Sites
Top 3 Matchmaking Sites in Bangladesh
Top 3 Matrimony Site in Bangladesh 2022
Top Matrimonial Site in Bangladesh
বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন- 01897927661 Email- info@bibahamedia.com
Sonali islam