Sunday, November 24, 2024

ইসলাম ধর্মে রোজার বিশেষ গুরুত্ব

-

ইসলাম ধর্মে রোজার বিশেষ গুরুত্ব
ইসলাম ধর্মে রোজার বিশেষ গুরুত্ব

ইসলাম ধর্মে রোজার বিশেষ গুরুত্ব

ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম। রমজান মাস জুড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, সহবাস এবং অন্যান্য কামনা-বাসনা থেকে বিরত থাকাই হলো রোজা। রোজা শুধুমাত্র ক্ষুধা ও তৃষ্ণার সংযম নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন যা মুসলমানদের আত্মসংযম, ধৈর্য, সহানুভূতি এবং ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

রোজার ফজিলত:

  • আল্লাহর সন্তুষ্টি: রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
  • গোনাহ মাফ: রোজা পালনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ হতে পারে।
  • জান্নাত লাভ: রোজা পালনের মাধ্যমে জান্নাত লাভের সুযোগ তৈরি হয়।
  • আত্মসংযম: রোজা পালনের মাধ্যমে আত্মসংযম বৃদ্ধি পায়।
  • ধৈর্য: রোজা পালনের মাধ্যমে ধৈর্য বৃদ্ধি পায়।
  • সহানুভূতি: রোজা পালনের মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়।
  • ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা: রোজা পালনের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়।

রোজার প্রকারভেদ:

  • ফরজ রোজা: রমজান মাসের রোজা ফরজ।
  • কাফফারা রোজা: কোন কারণে রমজানের রোজা না রাখলে পরবর্তীতে কাফফারা রোজা রাখতে হয়।
  • নফল রোজা: রমজান ছাড়া অন্যান্য মাসে রাখা রোজা নফল রোজা।

রোজার শর্ত:

  • মুসলিম হওয়া: রোজা রাখার জন্য মুসলিম হওয়া আবশ্যক।
  • বালেগ হওয়া: বালেগ হওয়ার পর রোজা রাখা ফরজ।
  • সুস্থ হওয়া: গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির উপর রোজা ফরজ নয়।
  • মুসাফির না হওয়া: দীর্ঘ যাত্রীদের উপর রোজা ফরজ নয়।

রোজার নিয়ম:

  • সেহরি: ভোরের আলো ফোটার আগে সেহরি খাওয়া সুন্নত।
  • নিয়ত: রোজা রাখার নিয়ত করা।
  • সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত: সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, সহবাস এবং অন্যান্য কামনা-বাসনা থেকে বিরত থাকা।
  • ইফতার: সূর্যাস্তের পর ইফতার করা।

রোজার ফলাফল:

  • আল্লাহর সন্তুষ্টি: রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব

রোজার ফলাফল:

আধ্যাত্মিক ফলাফল:

  • আল্লাহর সন্তুষ্টি: রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
  • গোনাহ মাফ: রোজা পালনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ হতে পারে।
  • জান্নাত লাভ: রোজা পালনের মাধ্যমে জান্নাত লাভের সুযোগ তৈরি হয়।
  • আত্মসংযম: রোজা পালনের মাধ্যমে আত্মসংযম বৃদ্ধি পায়।
  • ধৈর্য: রোজা পালনের মাধ্যমে ধৈর্য বৃদ্ধি পায়।
  • সহানুভূতি: রোজা পালনের মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়।
  • ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা: রোজা পালনের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়।

শারীরিক ফলাফল:

  • ওজন কমানো: রোজা পালনের মাধ্যমে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: রোজা পালনের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: রোজা পালনের মাধ্যমে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: রোজা পালনের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা: রোজা পালনের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ: রোজা পালনের মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • মস্তিষ্কের সুস্থতা: রোজা পালনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের সুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: রোজা পালনের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

সামাজিক ফলাফল:

  • সম্প্রীতি বৃদ্ধি: রোজা পালনের মাধ্যমে সমাজে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।
  • দানশীলতা বৃদ্ধি: রোজা পালনের মাধ্যমে দানশীলতা বৃদ্ধি পায়।
  • দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি: রোজা পালনের মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়।

দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি:

ভূমিকা:

মানবজাতির সৃষ্টির শুরু থেকেই সমাজে ধনী ও দরিদ্রের ভেদাভেদ বিদ্যমান। ধনীদের সম্পদের বিলাসিতা ও দরিদ্রদের জীবনের সংগ্রামের এই চিত্র চিরন্তন। দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা মানবতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

gettyimages 1384625516 612x612 1
Family and friends gathering for Ramadan Iftar

দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতির কারণ:

  • মানবিক দায়িত্ব: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা আমাদের সকলের মানবিক দায়িত্ব।
  • সামাজিক ন্যায়বিচার: সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া জরুরি।
  • সামাজিক স্থিতিশীলতা: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব।
  • ঈশ্বরের সন্তুষ্টি: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।

দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের উপায়:

  • দানশীলতা: দরিদ্রদের দান করা সহানুভূতি প্রদর্শনের একটি সহজ উপায়।
  • স্বেচ্ছাসেবক: দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করা।
  • সচেতনতা বৃদ্ধি: দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
  • নীতিমালা প্রণয়ন: দরিদ্র দূরীকরণের জন্য সরকারকে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য উৎসাহিত করা।

দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতির ফলাফল:

  • দরিদ্র দূরীকরণ: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সম্ভব।
  • সামাজিক সম্প্রীতি: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে সমাজে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।
  • মানবিক মূল্যবোধ: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধের জাগরণ ঘটে।
  • আধ্যাত্মিক উন্নয়ন: দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।:

দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা আমাদের সকলের মানবিক দায়িত্ব। দরিদ্রদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করার মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠন করতে পারি।

 

  • স্বার্থ ত্যাগ : রোজা পালনের মাধ্যমে স্বার্থ ত্যাগ করার মানসিকতা বৃদ্ধি পায়।

স্বার্থ ত্যাগ:

ভূমিকা:

মানুষের জীবনে স্বার্থ একটি স্বাভাবিক বৃত্তি। কিন্তু সুন্দর ও সুন্দর জীবনের জন্য স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে স্বার্থ ত্যাগ করা অপরিহার্য।

স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব:

  • ব্যক্তিগত উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।
  • সামাজিক উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সম্ভব।
  • মানসিক প্রশান্তি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি লাভ করা সম্ভব।
  • আধ্যাত্মিক উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।

স্বার্থ ত্যাগের উপায়:

  • পরিবারের জন্য: পরিবারের সদস্যদের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
  • সমাজের জন্য: সমাজের উন্নয়নের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
  • দেশের জন্য: দেশের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
  • মানবতার জন্য: মানবতার কল্যাণে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।

স্বার্থ ত্যাগের ফলাফল:

  • আত্মিক তৃপ্তি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে অতুলনীয় আত্মিক তৃপ্তি লাভ করা সম্ভব।
  • সম্মান: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে সমাজে সম্মান ও মর্যাদা লাভ করা সম্ভব।
  • ভালোবাসা: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে অন্যদের ভালোবাসা অর্জন করা সম্ভব।
  • ঈশ্বরের সন্তুষ্টি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।

উপসংহার:

স্বার্থ ত্যাগ একটি মহৎ গুণ। স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করতে পারি। সুন্দর ও সুন্দর জীবনের জন্য সকলের উচিত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে স্বার্থ ত্যাগ করা।

উদাহরণ:

  • মায়ের স্বার্থ ত্যাগ: একজন মা তার সন্তানের জন্য নিজের সকল স্বার্থ ত্যাগ করে।
  • শিক্ষকের স্বার্থ ত্যাগ: একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে।
  • সৈনিকের স্বার্থ ত্যাগ: একজন সৈনিক তার দেশের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে।

উক্তি:

  • “স্বার্থ ত্যাগই সকল সুখের মূল।” – স্বামী বিবেকানন্দ
  • “নিজের স্বার্থ ত্যাগ করলেই অন্যের সুখে সুখী হওয়া যায়।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আরও পড়তে:

  • স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব
  • স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব:

  • ভূমিকা:
  • মানুষের জীবনে স্বার্থ একটি স্বাভাবিক বৃত্তি। কিন্তু সুন্দর ও সুন্দর জীবনের জন্য স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে স্বার্থ ত্যাগ করা অপরিহার্য।
  • স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব:

  • ব্যক্তিগত উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।
  • সামাজিক উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সম্ভব।
  • মানসিক প্রশান্তি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি লাভ করা সম্ভব।
  • আধ্যাত্মিক উন্নয়ন: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।
  • স্বার্থ ত্যাগের উপায়:

  • পরিবারের জন্য: পরিবারের সদস্যদের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
  • সমাজের জন্য: সমাজের উন্নয়নের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
  • দেশের জন্য: দেশের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
  • মানবতার জন্য: মানবতার কল্যাণে নিজের স্বার্থ ত্যাগ করা।
  • স্বার্থ ত্যাগের ফলাফল:

  • আত্মিক তৃপ্তি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে অতুলনীয় আত্মিক তৃপ্তি লাভ করা সম্ভব।
  • সম্মান: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে সমাজে সম্মান ও মর্যাদা লাভ করা সম্ভব।
  • ভালোবাসা: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে অন্যদের ভালোবাসা অর্জন করা সম্ভব।
  • ঈশ্বরের সন্তুষ্টি: স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
  • উপসংহার:
  • স্বার্থ ত্যাগ একটি মহৎ গুণ। স্বার্থ ত্যাগের মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করতে পারি। সুন্দর ও সুন্দর জীবনের জন্য সকলের উচিত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে স্বার্থ ত্যাগ করা।
  • উদাহরণ:

  • মায়ের স্বার্থ ত্যাগ: একজন মা তার সন্তানের জন্য নিজের সকল স্বার্থ ত্যাগ করে।
  • শিক্ষকের স্বার্থ ত্যাগ: একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে।
  • সৈনিকের স্বার্থ ত্যাগ: একজন সৈনিক তার দেশের জন্য নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে।
  • উক্তি:

  • “স্বার্থ ত্যাগই সকল সুখের মূল।” – স্বামী বিবেকানন্দ
  • “নিজের স্বার্থ ত্যাগ করলেই অন্যের সুখে সুখী হওয়া যায়।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • আরও পড়তে:
  • স্বার্থ ত্যাগের গুরুত্ব:

 

  • স্বার্থ ত্যাগের উপায়

 

পরিশেষে বলা যায়, রোজা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক, শারীরিক এবং সামাজিক অনুশীলন যা আমাদের জীবনে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ইসলামে রোজার অবস্থান ও প্রকৃতি:

ভূমিকা:

ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম। রমজান মাস জুড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, সহবাস এবং অন্যান্য কামনা-বাসনা থেকে বিরত থাকাই হলো রোজা। রোজা শুধুমাত্র ক্ষুধা ও তৃষ্ণার সংযম নয়, বরং এটি একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন যা মুসলমানদের আত্মসংযম, ধৈর্য, সহানুভূতি এবং ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ইসলামে রোজার অবস্থান:

  • ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম : রোজা ছাড়া ইসলামের পূর্ণাঙ্গতা লাভ করা সম্ভব নয়। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম:
  • ভূমিকা:

  • ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ হলো:
  • কালেমা: আল্লাহ্‌র একত্ব ও মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর রাসূলত্ব স্বীকার করা।
  • নামাজ: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা।
  • যাকাত: ধন-সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ দান করা।
  • হজ: সামর্থ্যবানদের জন্য জীবনে একবার হজ্জ পালন করা।
  • রোজা: রমজান মাস জুড়ে রোজা রাখা।
  • রোজার গুরুত্ব:

  • রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রোজার মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হয়। রোজার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ, ধৈর্য, ত্যাগ স্বীকার ও সহানুভূতির গুণাবলী অর্জন করা সম্ভব।
  • রোজার নিয়ম:

  • সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত: রমজান মাসের প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া ও সহবাস থেকে বিরত থাকা।
  • নির্দিষ্ট বিষয়: মিথ্যা বলা, গীবত করা, পরনিন্দা করা, রাগ করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা।
  • শারীরিক ও মানসিক शुद्धि: রোজার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক शुद्धि লাভ করা সম্ভব।
  • রোজার ফলাফল:

  • গোনাহ মাফ: রোজার মাধ্যমে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ হতে পারে।
  • জান্নাত: রোজার মাধ্যমে জান্নাত লাভের আশা করা সম্ভব।
  • আত্মিক প্রশান্তি: রোজার মাধ্যমে আত্মিক প্রশান্তি লাভ করা সম্ভব।
  • শারীরিক সুস্থতা: রোজার মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা লাভ করা সম্ভব।
  • উপসংহার:

  • রোজা শুধুমাত্র একটি ইবাদত নয়, বরং এটি একটি জীবন বিধান। রোজার মাধ্যমে আমরা আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নয়ন লাভ করতে পারি।
  • আরও পড়তে:
  • রোজার নিয়ম: [ভুল URL সরানো হয়েছে]র-নিয়ম
  • রোজার ফজিলত: [ভুল URL সরানো হয়েছে]র-ফজিলত
  • উক্তি:
  • “রোজা অর্ধেক ঈমান।” – হাদিস
  • “রোজা হচ্ছে ঢাল, যা তোমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে।” – হাদিস
  • ফরজ ইবাদত: রমজান মাসের রোজা রাখা প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ, মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য ফরজ।
  • কঠিন ইবাদত: রোজা পালন করা অনেকের জন্য কঠিন হতে পারে।
  • বিশেষ ফজিলত: রোজা পালনের মাধ্যমে অনেক ফজিলত অর্জন করা সম্ভব।

রোজার প্রকৃতি:

  • আত্মসংযম: রোজা পালনের মাধ্যমে ক্ষুধা, তৃষ্ণা এবং অন্যান্য কামনা-বাসনার উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করা সম্ভব।
  • ধৈর্য: রোজা পালনের মাধ্যমে ধৈর্য্যের গুণ বৃদ্ধি পায়।
  • সহানুভূতি: রোজা পালনের মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি পায়।
  • ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা: রোজা পালনের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা বৃদ্ধি পায়।
  • আধ্যাত্মিক উন্নয়ন: রোজা পালনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক উন্নয়ন লাভ করা সম্ভব।

রোজার ফলাফল:

  • আল্লাহর সন্তুষ্টি: রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব।
  • গোনাহ মাফ: রোজা পালনের মাধ্যমে পূর্ববর্তী গোনাহ মাফ হতে পারে।
  • জান্নাত লাভ: রোজা পালনের মাধ্যমে জান্নাত লাভের সুযোগ তৈরি হয়।
  • শারীরিক মানসিক সুস্থতা: রোজা পালনের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা লাভ করা সম্ভব।
  • সামাজিক সম্প্রীতি: রোজা পালনের মাধ্যমে সমাজে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।

রোজার নিয়ম:

  • সেহরি: ভোরের আলো ফোটার আগে সেহরি খাওয়া সুন্নত।
  • নিয়ত: রোজা রাখার নিয়ত করা।
  • সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত: সূর্যোদয়

Top 3 Bangladeshi Matrimony Sites

Top 3 Matchmaking Sites in Bangladesh

Top 3 Matrimony Site in Bangladesh 2022

Top Matrimonial Site in Bangladesh

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন- 01897927661 Email- info@bibahamedia.com

Sonali islam

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

FOLLOW US

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
spot_img

Related Stories