Sunday, November 24, 2024

বিয়ের আগে যে সব বিষয়ে জানা জরুরি

-

বিয়ের আগে যে সব বিষয়ে জানা জরুরি
বিয়ের আগে যে সব বিষয়ে জানা জরুরি

বিয়ের আগে যে সব বিষয়ে জানা জরুরি

বিবাহ একটি সুন্দর ও পবিত্র বন্ধন যা দুই মানুষের জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এই বন্ধন দীর্ঘস্থায়ী ও সুখী হতে হলে, বিবাহের পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা অপরিহার্য। এই প্রবন্ধে আমরা এমন কিছু বিষয় আলোচনা করব যা বিয়ের আগে জেনে রাখা জরুরি।

১. সঙ্গীর সাথে খোলামেলা আলোচনা

বিবাহের পূর্বে সঙ্গীর সাথে খোলামেলা আলোচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের আশা, শখ, ভয়, স্বপ্ন, জীবনযাত্রার ধরণ, ধর্মীয় বিশ্বাস, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা, সন্তান সম্পর্কে ধারণা, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব ইত্যাদি বিষয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলা উচিত। এছাড়াও, বিবাহের পর কীভাবে জীবনযাপন করবে, কোথায় বাস করবে, কে কাজ করবে, কে বাচ্চাদের দেখাশোনা করবে ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করা প্রয়োজন। এই আলোচনাগুলির মাধ্যমে একে অপরকে ভালোভাবে বোঝা যায় এবং ভবিষ্যতের সমস্যাগুলি এড়িয়ে চলার উপায় খুঁজে বের করা সম্ভব হয়।

২. পরিবারের সম্মতি

বিবাহের ক্ষেত্রে পরিবারের সম্মতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিবাহ শুধু দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবারের মিলনও বটে। তাই, বিবাহের পূর্বে নিজেদের পরিবারের সাথে সঙ্গীর সম্পর্কে আলোচনা করা এবং তাদের সম্মতি আদায় করা উচিত। পরিবারের সদস্যদের মতামত গ্রহণ করা এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

পরিবারের সম্মতি ছাড়া বিয়ে: বাংলাদেশের আইনি দিক

বাংলাদেশে, পরিবারের সম্মতি ছাড়া বিয়ে করা আইনত বৈধ। তবে, কিছু বিষয় বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ:

ধর্মভিত্তিক আইন:

  • মুসলিম: মুসলিম আইন অনুযায়ী, একজন পুরুষ ব্যক্তি তার বর্তমান স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন। তবে, কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন, প্রথম স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, দাম্পত্য জীবনে অযোগ্যতা ইত্যাদি। অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে, প্রথম স্ত্রীর দেনমোহর এবং ভরণপোষণের অধিকার বহাল থাকে।
  • হিন্দু: হিন্দু আইন অনুযায়ী, একজন পুরুষ ব্যক্তি তার বর্তমান স্ত্রীর জীবদ্দশায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। তবে, কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু, স্ত্রীর ধর্মত্যাগ, স্ত্রীর দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা ইত্যাদি। অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে, প্রথম স্ত্রীর দেনমোহর এবং ভরণপোষণের অধিকার বহাল থাকে।
  • অন্যান্য ধর্ম: অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে, বিবাহ সংক্রান্ত আইন ধর্মগ্রন্থ ও রীতিনীতির উপর নির্ভর করে।

সাধারণ আইন:

  • বিয়ে নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪: এই আইনের অধীনে, ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কারো বিয়ে নিবন্ধন করা যাবে না।
  • দণ্ডবিধি, ১৮৬০: এই আইনের ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী, প্রথম স্ত্রীর জীবদ্দশায় দ্বিতীয় বিয়ে করলে, সাত বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে, কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু, স্ত্রীর ধর্মত্যাগ, স্ত্রীর দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা ইত্যাদি।

পরিণতি:

  • আইনি জটিলতা: পরিবারের সম্মতি ছাড়া বিয়ে করলে আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে।
  • সামাজিক সমস্যা: সমাজে বিতর্ক ও সমালোচনার সম্মুখীন হতে পারেন।
  • পারিবারিক কলহ: পরিবারের সাথে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।

পরামর্শ:

  • বিয়ের পূর্বে আইনি পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  • পরিবারের সকলের সাথে আলোচনা করা উচিত।
  • সকলের সম্মতি নিশ্চিত করা উচিত।

৩. আর্থিক পরিকল্পনা

বিবাহের পর আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, বিবাহের পূর্বে আর্থিক পরিকল্পনা করা উচিত। কত টাকা খরচ হবে, কোথা থেকে টাকা আসবে, কীভাবে টাকা খরচ করা হবে ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। এছাড়াও, ভবিষ্যতের জন্য কিছু সঞ্চয় করে রাখাও উচিত।

বিবাহের আগে আর্থিক পরিকল্পনা:

বিবাহ একটি সুন্দর জীবনের সূচনা হলেও, এর সাথে আসে অর্থনৈতিক দিক থেকে নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ। সুখী ও স্থায়ী দাম্পত্য জীবনের জন্য বিবাহের পূর্বে একটি ভালো আর্থিক পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ।

আর্থিক পরিকল্পনার ধাপগুলি:

১. আয় ব্যয় নির্ধারণ:

  • প্রথমে আপনাদের দুজনের আয় ও ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করুন।
  • বর্তমান আয়ের উৎস, ভবিষ্যতের আয়ের সম্ভাবনা, নিয়মিত খরচ, অপ্রত্যাশিত খরচ ইত্যাদি বিষয়গুলি বিবেচনা করুন।

২. আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ:

  • দীর্ঘমেয়াদী ও স্বল্পমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
  • যেমন, বাড়ি কেনা, গাড়ি কেনা, সন্তানের শিক্ষা, ভ্রমণ, অবসর পরিকল্পনা ইত্যাদি।

৩. বাজেট তৈরি:

  • আপনাদের আয় ও ব্যয়ের উপর ভিত্তি করে একটি বাজেট তৈরি করুন।
  • বাজেটে প্রয়োজনীয় খরচ, বিলাসবহুল খরচ, बचत এবং ঋণ পরিশোধের জন্য অর্থ বরাদ্দ করুন।

৪. ঋণ পরিচালনা:

  • বিবাহের পূর্বে যদি কোন ঋণ থাকে, তাহলে ঋণ পরিশোধের পরিকল্পনা করুন।
  • নতুন ঋণ গ্রহণের আগে ভালোভাবে ভেবে দেখুন এবং ঋণের শর্তাবলী সাবধানে পরীক্ষা করুন।

৫. बचत বিনিয়োগ:

  • নিয়মিত बचत করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • ভবিষ্যতের আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য बचत ও বিনিয়োগের বিভিন্ন বিকল্প সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।

৬. বীমা:

  • জীবন বীমা, স্বাস্থ্য বীমা, সম্পত্তি বীমা ইত্যাদির জন্য পরিকল্পনা করুন।
  • বীমা আপনাদের অপ্রত্যাশিত আর্থিক ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

৭. আর্থিক বিষয়ে আলোচনা:

  • সঙ্গীর সাথে নিয়মিত আর্থিক বিষয়ে আলোচনা করুন।
  • আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে একে অপরের মতামত শুনুন এবং সম্মত সিদ্ধান্ত নিন।

৮. আর্থিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:

  • প্রয়োজনে একজন অভিজ্ঞ আর্থিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
  • তারা আপনাদের আর্থিক পরিকল্পনা তৈরিতে এবং আর্থিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারবে।

কিছু টিপস:

  • বিবাহের আগে থেকেই আর্থিক পরিকল্পনা শুরু করুন।
  • দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা করে আর্থিক সিদ্ধান্ত নিন।
  • অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে बचत করার চেষ্টা করুন।
  • ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত আর্থিক

৪. মানসিক প্রস্তুতি

বিবাহ একটি বড় পরিবর্তন, এবং এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। বিবাহের পর জীবনে অনেক নতুন চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। তাই, এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার জন্য মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।

বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতি:

পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়া: বিয়ের পর জীবনে অনেক পরিবর্তন আসে। নিজের বাড়ি, পরিবার, বন্ধুবান্ধব, জীবনযাত্রার ধরণ সবকিছুই বদলে যেতে পারে। এই পরিবর্তনগুলোর সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা জরুরি।

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা: বিয়ের পর জীবনে অনেক নতুন চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। যেমন, আর্থিক সমস্যা, সংসারের দায়িত্ব, সন্তানের দেখাশোনা ইত্যাদি। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।

সম্পর্কের বাস্তবতা: বিয়ের আগে অনেকেই প্রেমে অন্ধ হয়ে পড়ে এবং সম্পর্কের বাস্তবতা সম্পর্কে ভাবতে পারে না। বিয়ের পর এই বাস্তবতার সাথে মুখোমুখি হলে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ে। তাই, বিয়ের আগেই সম্পর্কের বাস্তবতা সম্পর্কে ভাবা উচিত।

ক্ষমাশীলতা: বিয়ের পর দুজন মানুষের মধ্যে মতবিরোধ, ঝগড়া-ঝাটি হওয়া স্বাভাবিক। এইসব সমস্যা সমাধানের জন্য একে অপরের প্রতি ক্ষমাশীল হওয়া জরুরি।

যোগাযোগ: ভালো যোগাযোগ একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি। বিয়ের আগে থেকেই একে অপরের সাথে খোলামেলাভাবে কথা বলার অভ্যাস করা উচিত।

সাহায্য চাওয়া: প্রয়োজনে পরিবার, বন্ধুবান্ধব অথবা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সাহায্য চাইতে দ্বিধা করা উচিত নয়।

কিছু টিপস:

  • বিয়ের আগে পর্যাপ্ত সময় নিন: দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় নিন। একে অপরকে ভালোভাবে জানুন এবং সম্পর্কের ভিত্তি শক্তিশালী করুন।
  • পরিবারের সাথে আলোচনা করুন: বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনা করুন এবং তাদের মতামত নিন।
  • বিবাহের পরিকল্পনা: বিয়ের আগে থেকেই বিবাহের পরিকল্পনা করে রাখুন। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে অনেক ঝামেলা এড়ানো সম্ভব।
  • বিবাহ বিষয়ক বই পড়ুন: বিবাহ বিষয়ক বিভিন্ন বই পড়ুন এবং বিবাহিত জীবন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।
  • বিবাহ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন: প্রয়োজনে বিবাহ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন এবং তাদের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন: বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা একটি সুখী ও স্থায়ী দাম্পত্য জীবনের জন্য অপরিহার্য।

এছাড়াও, বিয়ের আগে শারীরিক প্রস্তুতি এবং আর্থিক প্রস্তুতি নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ

৫. বিবাহের আইনি দিকগুলি

বিবাহের আইনি দিকগুলি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। বিবাহের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন, বিবাহ নিবন্ধন করার প্রক্রিয়া কী, বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে আইনি

বিবাহের আইনি দিকগুলি:

বাংলাদেশে বিবাহের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ:

  • বিবাহ নিবন্ধন: বাংলাদেশে বিবাহ নিবন্ধন আইন, ১৯৭৪ অনুযায়ী, সকল ধর্মের মানুষের জন্য বিবাহ নিবন্ধন করা আইনি বাধ্যতা।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
    • বিবাহের আবেদনপত্র: নির্ধারিত ফর্মে পূরণ করা।
    • প্রার্থীদের ছবি: দুই কপি (আত্মস্বাক্ষরসহ)।
    • বয়সের প্রমাণপত্র: জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদপত্র ইত্যাদি।
    • পিতামাতা/অভিভাবকের সম্মতিপত্র: (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
    • বিবাহ বিচ্ছেদের ডিক্রি: (বিধবা/বিবাহ বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে)।
    • ধর্মীয় প্রমাণপত্র: (মুসলিম ব্যক্তিদের জন্য)।
  • নিবন্ধন প্রক্রিয়া:
    • আবেদন: নির্ধারিত ফি প্রদান করে আবেদনপত্র সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্থানীয় নিবন্ধন অফিসে জমা দেওয়া।
    • যাচাই: কর্মকর্তা কাগজপত্র যাচাই করবেন এবং প্রয়োজনে প্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
    • নিবন্ধন: সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর কর্মকর্তা বিবাহ নিবন্ধন করবেন এবং নিবন্ধন সনদ প্রদান করবেন।
  • সময়সীমা: আবেদন করার ৩০ দিনের মধ্যে বিবাহ নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

বিবাহের আইনি প্রভাব:

  • বিবাহের বৈধতা: নিবন্ধিত বিবাহ আইনিভাবে বৈধ বিবেচিত হয়।
  • ধারণ সম্পত্তির অধিকার: স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তিতে সমান অধিকারী হয়।
  • উত্তরাধিকার: স্ত্রী ও সন্তানরা স্বামীর সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হয়।
  • গুজব: স্ত্রী স্বামীর ঋণের জন্য দায়ী হয় না (বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া)।
  • দায়িত্ব: স্ত্রী ও স্বামী একে অপরের প্রতি পারস্পরিক দায়িত্ব পালনের জন্য আইনিভাবে বাধ্য।

বিবাহ বিচ্ছেদ:

  • বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ: নিষ্ঠুরতা, পরকীয়া, মানসিক নির্যাতন, ধর্মীয় বিশ্বাসের অমিল, দীর্ঘদিন আলাদা থাকা ইত্যাদি কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ করা সম্ভব।
  • বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া: আদালতে আবেদন করে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করতে হয়। আদালত প্রমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় দিতে পারে।
  • খাদ্য ভাতা: বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্বামীর কাছ থেকে খাদ্য ভাতা পেতে পারে।
  • শিশুদের হেলাফালা: বিবাহ বিচ্ছেদের পর শিশুদের হেলাফালা নির্ধারণের জন্য আদালত রায় দিতে পারে।

বিবাহ বিষয়ক বই পড়ুন: বিবাহ বিষয়ক বিভিন্ন বই পড়ুন এবং বিবাহিত জীবন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।

  • বিবাহ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন: প্রয়োজনে বিবাহ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন এবং তাদের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন: বিয়ের আগে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা একটি সুখী ও স্থায়ী দাম্পত্য জীবনের জন্য অপরিহার্য।

এছাড়াও, বিয়ের আগে শারীরিক প্রস্তুতি এবং আর্থিক প্রস্তুতি নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ

বিয়ের আগে যেসব বিষয় অবশ্যই জানা প্রয়োজন

বিয়ের আগে যেসব বিষয় অবশ্যই জানা প্রয়োজন:

ব্যক্তিগত বিষয়:

  • আপনার সঙ্গীর সাথে খোলামেলা যোগাযোগ: আপনার আবেগ, চাহিদা, এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কথা বলুন।
  • আর্থিক বিষয়: আপনার আয়, ব্যয়, ঋণ, এবং আর্থিক লক্ষ্য সম্পর্কে আলোচনা করুন।
  • ধর্মীয় বিশ্বাস: আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস এবং অনুশীলন সম্পর্কে কথা বলুন এবং সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিন।
  • পরিবার বন্ধুবান্ধব: আপনার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে সম্পর্ক এবং তাদের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করুন।
  • সন্তান: সন্তান নেওয়ার ইচ্ছা, সংখ্যা, এবং লালন-পালনের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলুন।
  • শারীরিক মানসিক স্বাস্থ্য: আপনার স্বাস্থ্য সমস্যা, মানসিক অসুস্থতা, এবং চিকিৎসা ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করুন।
  • জীবনধারা: আপনার বাসস্থান, খাদ্যাভ্যাস, ছুটি কাটানোর পছন্দ, এবং জীবনধারার অভ্যাস সম্পর্কে কথা বলুন।

গুরুত্বপূর্ণ দলিল:

  • বিবাহের নিবন্ধন: বিবাহের আইনি প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে জানুন।
  • বিবাহের চুক্তি: আপনার সম্পত্তি, আর্থিক দায়িত্ব, এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে শর্তাবলী নির্ধারণ করুন।
  • বীমা: জীবন বীমা, স্বাস্থ্য বীমা, এবং সম্পত্তির বীমা সম্পর্কে আলোচনা করুন।

অন্যান্য বিষয়:

  • গৃহস্থালি: আপনার বাসস্থান, আসবাবপত্র, এবং ঘরের কাজ ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে কথা বলুন।
  • সামাজিক রীতিনীতি: বিবাহের অনুষ্ঠান, রীতিনীতি, এবং খরচ সম্পর্কে আলোচনা করুন।
  • পরিবার পরিকল্পনা: জন্ম নিয়ন্ত্রণ, গর্ভধারণ, এবং প্রসবের পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলুন।
  • সাংস্কৃতিক পার্থক্য: আপনাদের ভিন্ন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে আলোচনা করুন এবং সমন্বয় করার উপায় খুঁজুন।

বিবাহ পরামর্শদাতার সাথে কথা বলা:

একজন বিবাহ পরামর্শদাতা আপনাদের এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে এবং একটি সুখী এবং সফল দাম্পত্য জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করতে পারেন।

  • বিয়ের আগে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আলোচনা করা এবং একে অপরকে ভালোভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।

kabin

bangladesh marriage media

marriage website

marriage bd

বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন- 01897927661 Email- info@bibahamedia.com

SONALI ISLAM

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

FOLLOW US

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
spot_img

Related Stories