তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে করণীয়:
গরমের দাবদাহে শরীর ও মন বিধ্বস্ত হতে পারে। তীব্র গরমে সুস্থ থাকার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অবলম্বন করা জরুরি।
পানিশূন্যতা রোধ:
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, বিশেষ করে ঘাম হলে।
- ORS বা নারকেল পানি পান করে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করুন।
- ঠান্ডা পানি পানের চেয়ে হালকা গরম পানি পান করা ভালো।
পানিশূন্যতা রোধ
পানিশূন্যতা হলো যখন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল না থাকে। এর ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পানিশূন্যতার লক্ষণ:
- তৃষ্ণা
- মুখ শুষ্ক হওয়া
- মাথাব্যথা
- ক্লান্তি
- মাথা ঘোরা
- বমি বমি ভাব
- পেশীতে টান
- কোষ্ঠকাঠিন্য
- মূত্রের পরিমাণ কমে যাওয়া
- গাঢ় রঙের মূত্র
পানিশূন্যতা রোধের উপায়:
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।
Drinking water to prevent dehydration
- তরল খাবার খান।ফল, সবজি, স্যুপ, ও ঝোল খাবার পানিশূন্যতা রোধে সাহায্য করে।
Eating liquid foods to prevent dehydration
- ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল মূত্রবর্ধক, যার ফলে শরীর থেকে তরল বেরিয়ে যায়।
- গরমের দিনে সাবধানতা অবলম্বন করুন। গরমের দিনে ঘাম বেশি হয়, তাই নিয়মিত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ।
- ব্যায়ামের সময় পানি পান করুন। ব্যায়ামের সময় ঘাম বেরিয়ে যায়, তাই নিয়মিত পানি পান করে পানিশূন্যতা রোধ করুন।
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকুন। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হলে:
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- ORS পান করুন। ORS তরল ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করে।
- হালকা খাবার খান।
- বিশ্রাম নিন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি পানিশূন্যতার লক্ষণগুলি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে:
- শিশু ও বয়স্করা পানিশূন্যতার ঝুঁকিতে বেশি থাকে।
- তাদের নিয়মিত পানি পান করতে উৎসাহিত করুন।
- তাদের পানিশূন্যতার লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
পানিশূন্যতা একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। উপরে উল্লিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে আপনি পানিশূন্যতা রোধ করতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস:
- হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান।
- শাকসবজি, ফল, ও তরল খাবার বেশি খান।
- ভাজাভুজি, তেলেভাজা, ও মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
পোশাক:
- হালকা রঙের, সুতির পোশাক পরুন।
- মাথায় টুপি বা ছাতা ব্যবহার করুন।
- বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
অন্যান্য:
- নিয়মিত গোসল করুন।
- ঘর ঠান্ডা রাখুন।
- বাইরে বের হওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
- প্রচুর ঘুমান।
- শরীর খারাপ লাগলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বিশেষ সতর্কতা:
- শিশু, বৃদ্ধ, ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
- গর্ভবতী মহিলাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
- হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে (যেমন: প্রচুর ঘাম, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব) দ্রুত চিকিৎসা নিন।
গরমের দাবদাহে সচেতন থাকলে ও সাবধানতামূলক পদক্ষেপ অবলম্বন করলে সুস্থ থাকা সম্ভব।
তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে গেলে কী করবেন
তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে গেলে করণীয়:
গরমের দাবদাহে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হতে পারে। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
প্রাথমিক চিকিৎসা:
- ঠান্ডা স্থানে: অসুস্থ ব্যক্তিকে ঠান্ডা, ছায়াযুক্ত স্থানে নিয়ে যান।
- শরীর ঠান্ডা করুন: ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ও শরীর মুছুন।
- পানি পান করুন: প্রচুর পরিমাণে পানি ও ORS পান করুন।
- পোশাক খোলুন: অতিরিক্ত পোশাক খুলে ফেলুন।
- পা উঁচু করে রাখুন: শরীরের তরল
- পাখা ব্যবহার করুন: পাখা বা ফ্যান ব্যবহার করে বাতাস চলাচল করুন।
প্রাথমিক চিকিৎসা হল জীবন বাঁচানোর পদক্ষেপ যা যে কেউ প্রয়োজনে প্রদান করতে পারে। এটি গুরুতর আঘাত বা অসুস্থতার শিকার ব্যক্তিকে স্থিতিশীল করতে এবং অগ্রণী চিকিৎসা না আসা পর্যন্ত তাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত:
- CPR:কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (CPR) হল একটি জীবন বাঁচানোর কৌশল যা হৃদস্পন্দন বা শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যক্তির জীবনকে বজায় রাখতে ব্যবহৃত
CPR প্রথম চিকিৎসা
- প্রাথমিক রক্তপাত বন্ধ করা:প্রাথমিক রক্তপাত বন্ধ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শক প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।
প্রথম চিকিৎসায় প্রাথমিক রক্তপাত বন্ধ করা
- বন্ধন: একটি স্প্লিন্ট হল একটি ডিভাইস যা একটি আহত অঙ্গকে স্থির করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- পোড়া চিকিৎসা:পোড়া একটি সাধারণ আঘাত যা ব্যথা এবং ক্ষতি করতে পারে। পোড়া চিকিৎসার লক্ষ্য হল আঘাতের পরিমাণ কমানো এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করা।
প্রথম চিকিৎসায় পোড়া চিকিৎসা
- বিষাক্ততা: বিষাক্ততা একটি গুরুতর অবস্থা যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিষাক্ততার চিকিৎসার লক্ষ্য হল বিষ শরীর থেকে অপসারণ করা এবং জটিলতা প্রতিরোধ করা।
প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নেওয়া যে কেউকে সাহায্য করতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসার কোর্স অনেক রেড ক্রস এবং অন্যান্য সংস্থা দ্বারা অফার করা হয়। আপনি অনলাইনে বা ভিডিও দেখে প্রাথমিক চিকিৎসার দক্ষতাও শিখতে পারেন।
প্রাথমিক চিকিৎসার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস এখানে দেওয়া হল:
- শান্ত থাকুন এবং পরিস্থিতি মূল্যায়ন করুন।
- 911 কল করুন বা সাহায্যের জন্য ডাকুন।
- আহত ব্যক্তিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন।
- জীবন-হুমকির লক্ষণগুলির জন্য পরীক্ষা করুন, যেমন শ্বাস বা হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া।
- প্রয়োজনে CPR বা অন্যান্য প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করুন।
- আহত ব্যক্তিকে শান্ত এবং সান্ত্বনা দিন।
প্রাথমিক চিকিৎসার জ্ঞান থাকা জীবন বাঁচাতে পারে। আজই প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক
চিকিৎসা সহায়তা:
- অসুস্থ ব্যক্তির অবস্থা যদি দ্রুত না
- শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞানতা, অতিরিক্ত বমি বমি ভাব
- তীব্র মাথাব্যথা,
- চোখ বন্ধ রাখা,
- শরীরে ক্রাম্প হলে দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
গরমে অসুস্থতার লক্ষণ:
- ডিহাইড্রেশন: মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা,
- হিট স্ট্রোক: প্রচুর ঘাম,
- গরমে অসুস্থতা: দুর্বলতা,
- পেশীতে ব্যথা:
- বমি বমি ভাব:
প্রতিরোধ ব্যবস্থা:
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- হালকা রঙের, সুতির পোশাক পরুন।
- নিয়মিত গোসল করুন।
- বাইরে বের হওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।
- সুষম খাবার খান।
- পর্যাপ্ত ঘুমান।
গরমের দাবদাহে সচেতন থাকলে ও সাবধানতামূলক পদক্ষেপ অবলম্বন করলে অসুস্থতা এড়ানো সম্ভব।
খাদ্যাভ্যাস
স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
খাদ্যাভ্যাসের ধরণ:
- সুষম খাদ্যাভ্যাস:সুষম খাদ্যাভ্যাসে বিভিন্ন ধরণের খাবার অন্তর্ভুক্ত থাকে। এর মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, ফল, শস্য, মাংস, মাছ, ডিম, ও দুগ্ধজাত খাবার।
- নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস:নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসে কোনো মাংস বা মাছ থাকে না।
- শাকাহারী খাদ্যাভ্যাস:শাকাহারী খাদ্যাভ্যাসে মাংস, মাছ, ডিম, ও দুগ্ধজাত খাবার থাকে না।
- ম্যাক্রোবায়োটিক খাদ্যাভ্যাস:ম্যাক্রোবায়োটিক খাদ্যাভ্যাসে প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি, ও মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা হয়।
খাদ্যাভ্যাসের গুরুত্ব:
- শরীর সুস্থ রাখে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- শক্তি যোগায়।
- মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার উপায়:
- ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনুন।
- প্রিয় খাবারের স্বাস্থ্যকর বিকল্প খুঁজে বের করুন।
- পরিবার ও বন্ধুদের সাহায্য নিন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
কিছু টিপস:
- প্রতিদিন সকালে পুষ্টিকর নাস্তা করুন।
- ঘরে তৈরি খাবার খান।
- ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- বেশি করে শাকসবজি ও ফল খান।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন ও ফাইবার খান।
- চিনি ও মশলা কম খান।
- নিয়মিত খাবার খান।
- খাবার খাওয়ার সময় মনোযোগ দিন।
খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে আরও জানতে আপনার ডাক্তার বা একজন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করুন।
জীবন-হুমকির লক্ষণগুলির জন্য পরীক্ষা করা
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করার আগে, জীবন-হুমকির লক্ষণগুলির জন্য পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে:
- শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া:ব্যক্তি যদি শ্বাস না নেয়, তাহলে অবিলম্বে CPR শুরু করুন।
- হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া: ব্যক্তির কব্জিতে বা ঘাড়ে নাড়ি পরীক্ষা করে দেখুন। যদি কোনও নাড়ি না থাকে, তাহলে অবিলম্বে CPR শুরু করুন।
- গুরুতর রক্তক্ষরণ: রক্তপাত বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করুন এবং প্রয়োজনে একটি ট্যুরনিকেট ব্যবহার করুন।
- চোখের আঘাত: আহত চোখে একটি স্যালাইন বাঁধন লাগান এবং ব্যক্তিকে চোখ বন্ধ রাখতে বলুন।
- হাড় ভেঙে যাওয়া: আহত অঙ্গটি স্থির করুন এবং প্রয়োজনে একটি স্প্লিন্ট ব্যবহার করুন।
- বিষাক্ততা: ব্যক্তিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিষ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে (1-800-222-1222) ফোন করুন এবং তাদের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
আপনি যদি নিশ্চিত না হন যে কীভাবে সাহায্য করবেন, তাহলে 911 কল করুন বা সাহায্যের জন্য ডাকুন।
মনে রাখবেন:
- আপনার নিজের নিরাপত্তা প্রথম। যদি পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়, তাহলে সাহায্য আসার আগে নিজেকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না।
- আপনার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সৎ থাকুন। আপনি যদি প্রশিক্ষিত না হন তবে জটিল চিকিৎসা প্রদান করার চেষ্টা করবেন না।
- আপনার কাজগুলি সম্পর্কে স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্তভাবে যোগাযোগ করুন। আহত ব্যক্তিকে এবং যেকোনো সহায়ককে জানান যে আপনি কী করছেন এবং কেন করছেন।
- শান্ত এবং ইতিবাচক থাকুন। আপনার শান্তি আহত ব্যক্তিকে শান্ত করতে এবং পরিস্থিতি পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ নেওয়া জীবন বাঁচাতে পারে। আজই প্রাথমিক চিকিৎসার কোর্স নেওয়ার কথা বিবেচনা করুন।
খাদ্যাভ্যাসের ধরণ
খাদ্যাভ্যাস হল খাবারের একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন এবং পরিমাণ যা একজন ব্যক্তি নিয়মিতভাবে খায়। বিভিন্ন ধরণের খাদ্যাভ্যাস রয়েছে, প্রতিটির নিজস্ব অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
কিছু জনপ্রিয় খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে রয়েছে:
- সুষম খাদ্যাভ্যাস:একটি সুষম খাদ্যাভ্যাসে বিভিন্ন ধরণের খাবার অন্তর্ভুক্ত থাকে, যার মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, শস্য, প্রোটিন এবং দুগ্ধজাত খাবার। এটি স্বাস্থ্যকর থাকার এবং শরীরের সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে সেরা উপায়।
সুষম খাদ্যাভ্যাস
- সাধারণ নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস:একটি সাধারণ নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসে মাংস, মাছ বা পাখির মাংস অন্তর্ভুক্ত থাকে না। যাইহোক, এতে ডিম, দুগ্ধজাত খাবার এবং অন্যান্য প্রাণীজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
সাধারণ নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস
- ল্যাক্টো-ওভো নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস: একটি ল্যাক্টো-ওভো নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসে মাংস, মাছ বা পাখির মাংস অন্তর্ভুক্ত থাকে না। যাইহোক, এতে ডিম এবং দুগ্ধজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
- ল্যাক্টো নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস:একটি ল্যাক্টো নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসে মাংস, মাছ, পাখির মাংস বা ডিম অন্তর্ভুক্ত থাকে না। যাইহোক, এতে দুগ্ধজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সাধারণ নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস
নিরামিষ খাদ্য বেশ বৈচিত্র্যময় হতে পারে। বিভিন্ন ধরণের নিরামিষ খাদ্য রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- ল্যাক্টো-ওভো নিরামিষ: এই খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত এবং ডিম অন্তর্ভুক্ত থাকে, তবে মাংস, মাছ এবং অন্যান্য প্রাণীজাত খাবার বাদ দেওয়া হয়।
- ল্যাক্টো নিরামিষ: এই খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত অন্তর্ভুক্ত থাকে, তবে ডিম, মাংস, মাছ এবং অন্যান্য প্রাণীজাত খাবার বাদ দেওয়া হয়।
- ওভো নিরামিষ: এই খাদ্যতালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্ত থাকে, তবে দুগ্ধজাত, মাংস, মাছ এবং অন্যান্য প্রাণীজাত খাবার বাদ দেওয়া হয়।
- সাধারণ নিরামিষ: এই খাদ্যতালিকায় সকল প্রকার মাংস, মাছ, ডিম এবং দুগ্ধজাত খাবার বাদ দেওয়া হয়।
- ভেগান: এই খাদ্যতালিকায় সমস্ত প্রাণীজাত খাবার বাদ দেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে মাংস, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত, মধু, এমনকি জেলিও যাতে জেলটিন থাকে।
নিরামিষ খাদ্যের কিছু সাধারণ উদাহরণ:
- সকালের নাস্তা: ওটমিল, টোস্ট এবং বাদাম মাখন, ফল এবং দই (ল্যাক্টো-ওভো নিরামিষ), স্মুদি, চিয়া পুডিং
- দুপুরের খাবার: সবজি স্যুপ এবং সালাদ, ডাল-ভাত, বার্গার (ভেজি), শাকসবজি রোল
- রাতের খাবার: পাস্তা এবং সস, ভেজি টিক্কা মসলা, ছোলা ভাটুরা, ভাত এবং তরকারি
নিরামিষ খাদ্যের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: নিরামিষ খাদ্য সাধারণত কম চর্বি এবং কোলেস্টেরলযুক্ত হয়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: নিরামিষ খাদ্য সাধারণত ফাইবার এবং পূর্ণ শস্যে সমৃদ্ধ হয়, যা টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: নিরামিষ খাদ্য সাধারণত ক্যালোরিতে কম হয়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে নিরামিষ খাদ্য কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
- পরিবেশের উপর প্রভাব কমায়: মাংস উৎপাদন পরিবেশের উপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। নিরামিষ খাওয়া পরিবেশের উপর আপনার প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।
নিরামিষ খাদ্য শুরু করার টিপস:
ল্যাক্টো নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস
- ওভো নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস:একটি ওভো নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসে মাংস, মাছ, পাখির মাংস বা দুগ্ধজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত থাকে না। যাইহোক, এতে ডিম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওভো নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস
- সাধারণ নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস:একটি সাধারণ নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসে কোনও প্রাণীজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত থাকে না, যার মধ্যে রয়েছে মাংস, মাছ, পাখির মাংস, ডিম বা দুগ্ধজাত খাবার।
সাধারণ নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস
- ভেগান খাদ্যাভ্যাস:একটি ভেগান খাদ্যাভ্যাসে কোনও প্রাণীজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত থাকে না, যার মধ্যে রয়েছে মাংস, মাছ, পাখির মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার বা এমনকি মধু।
ম্যাক্রোবায়োটিক খাদ্যাভ্যাস: একটি ম্যাক্রোবায়োটিক খাদ্যাভ্যাস সম্পূর্ণ শস্য, শাকসবজি, শিম এবং সয়া খাবারের উপর জোর দেয়।
Bangladeshi Matrimony Chittagong
Bangladeshi Matrimony Mymensingh
বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন- 01897927661 Email- info@bibahamedia.com
Sonali Islam