শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রয়োজন
শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা: অত্যাবশ্যক পদক্ষেপ
শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখা আমাদের সবার কর্তব্য। শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারি:
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা:
- টিকা: সময়মতো সকল প্রয়োজনীয় টিকা প্রদান করা শিশুদের অনেক সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
- পুষ্টি: শিশুদের সুষম ও পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
- পরিচ্ছন্নতা: নিয়মিত হাত ধোয়া, পরিষ্কার জল পান ও পরিবেশ পরিষ্কার রাখা শিশুদের রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- নিরাপদ পরিবেশ: ঘর ও আশেপাশের পরিবেশ নিরাপদ রাখা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসা:
- নিয়মিত চেকআপ: শিশুদের নিয়মিত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ।
- সঠিক চিকিৎসা: শিশু অসুস্থ হলে দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা জরুরি।
- মানসিক স্বাস্থ্য: শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও যত্ন নেওয়া উচিত।
সচেতনতা বৃদ্ধি:
- শিক্ষা: শিশুদের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা গুরুত্বপূর্ণ।
- পরিবারের ভূমিকা: পরিবার শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- সমাজের ভূমিকা: সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা:
শিশুর স্বাস্থ্য আমাদের সকলের দায়িত্ব। আসুন আমরা সকলে মিলে তাদের সুস্থ ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করি।
শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশে শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রতিবছর অনেক শিশু মারাত্মক রোগ, অপুষ্টি ও দুর্ঘটনায় মারা যায়।
কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য:
- শিশু মৃত্যুহার: জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুহার প্রতি ১,০০০ জীবিত জন্মে ৩৮ জন।
- অপুষ্টি: বাংলাদেশে প্রায় ১৭% শিশু অপুষ্টিতে ভোগে।
- দুর্ঘটনা: দুর্ঘটনা শিশুমৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
সরকারি পদক্ষেপ:
- সরকার শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
- এর মধ্যে রয়েছে টিকাদান কর্মসূচি, মাতৃ-শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন, এবং পুষ্টি উন্নয়ন কর্মসূচি।
- সরকার ‘শিশুস্বাস্থ্য কার্ড’ প্রদানের মাধ্যমে শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
চ্যালেঞ্জ:
- সরকারি উদ্যোগের পরও, শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
- গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা, দারিদ্র্য, এবং সচেতনতার অভাব এই চ্যালেঞ্জের মধ্যে অন্যতম।
সমাধান:
- সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষার উন্নতি সম্ভব।
- সকল শিশুর জন্য টিকাদান নিশ্চিত করা, মাতৃ-শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলিকে শক্তিশালী করা, এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি এই সমাধানের মধ্যে রয়েছে।
আমাদের কর্তব্য:
- শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদের সকলের কর্তব্য।
- আমাদের সকলের উচিত শিশুদের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং তাদের সুস্থ ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা:
-
শিশু অধিকার সনদ
বাংলাদেশে শিশু স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা: কিছু উল্লেখযোগ্য তথ্য সুসংবাদ:
- শিশু মৃত্যুহার হ্রাস: গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। UNICEF-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে প্রতি ১,০০০ জীবিত জন্মের জন্য শিশু মৃত্যুর হার ছিল ৯৬ জন, যা ২০২০ সালে কমে ৩৮ জনে নেমে এসেছে।
- টিকাদান বৃদ্ধি: বাংলাদেশে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে, বেশিরভাগ শিশু জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে ডিপ্থেরিয়া, টেটানাস, পোলিও, খসড়া, এবং হেপাটাইটিস বি-এর মতো মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে টিকা পায়।
- পুষ্টি উন্নতি: শিশুদের পুষ্টির অবস্থাও উন্নতি পেয়েছে। অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের হার অনেক কমে গেছে।
চ্যালেঞ্জ:
- নবজাতক মৃত্যু: যদিও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে, তবুও নবজাতক মৃত্যু এখনও একটি বড় সমস্যা। প্রতি বছর প্রায় ৬০,০০০ নবজাতক শিশু মারা যায়।
- শিশু অপুষ্টি: অপুষ্টি এখনও বাংলাদেশের শিশুদের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিশু অপুষ্টিতে ভোগে।
- শিশু শোষণ ও নির্যাতন: শিশু শোষণ ও নির্যাতনের ঘটনাও অনেক। বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং লিঙ্গ-ভিত্তিক হিংসাত্মক আচরণের শিকার হয় অনেক শিশু।
সরকারি পদক্ষেপ:
- শিশুস্বাস্থ্য সেবা উন্নত: সরকার শিশুস্বাস্থ্য সেবা উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে সকলের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন বৃদ্ধি, এবং কুশল স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি।
- শিশু অধিকার রক্ষা: শিশু অধিকার রক্ষার জন্যও সরকার বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে শিশু আইন, বাল্যবিবাহ রোধ আইন, এবং শিশুশ্রম নিষেধ আইন।
অন্যান্য সংস্থাগুলির ভূমিকা:
- UNICEF: UNICEF বাংলাদেশে শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য সরকারের সাথে কাজ করে। UNICEF শিশুস্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, পুষ্টি, এবং শিশু অধিকার রক্ষার ক
অন্যান্য সংস্থাগুলির ভূমিকা:
বাংলাদেশে শিশু স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় অন্যান্য সংস্থাগুলির ভূমিকা:
সরকারি সংস্থা:
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হলো বাংলাদেশের সরকারের প্রধান স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থা। এটি দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিচালনা করে এবং শিশুস্বাস্থ্য সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, এবং পুষ্টি উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।
- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়: এই মন্ত্রণালয় শিশুদের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে। এটি শিশু নীতি প্রণয়ন করে এবং শিশুস্বাস্থ্য, শিক্ষা, এবং শিশু সুরক্ষার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।
- শিশুস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট: শিশুস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (ICDDR,B) শিশুস্বাস্থ্য গবেষণার একটি বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান। এটি শিশুদের মধ্যে প্রচলিত রোগ সম্পর্কে গবেষণা করে এবং শিশুস্বাস্থ্য সেবা উন্নত করার জন্য নতুন পদ্ধতি বিকাশ করে।
বেসরকারি সংস্থা:
- BRAC: BRAC বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলির মধ্যে একটি। এটি শিশুস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, এবং জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ করে।
- আশা: আশা আরেকটি বড় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা যা শিশুস্বাস্থ্য, শিক্ষা, এবং শিশু অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে।
- সেভ দ্য চিলড্রেন: সেভ দ্য চিলড্রেন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী শিশুদের জন্য কাজ করে। এটি বাংলাদেশে শিশুস্বাস্থ্য, শিক্ষা, এবং শিশু সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা:
- UNICEF: UNICEF জাতিসংঘের শিশু তহবিল যা বিশ্বব্যাপী শিশুদের জন্য কাজ করে। এটি বাংলাদেশে শিশুস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, এবং শিশু অধিকার রক্ষার জন্য সরকারের সাথে কাজ করে।
- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO): WHO জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করে। এটি বাংলাদেশে সরকারকে শিশুস্বাস্থ্য সেবা উন্নত করতে সহায়তা করে।
এই তালিকা সম্পূর্ণ নয়। আরও অনেক সংস্থা বাংলাদেশে শিশু স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা উন্নত কর
শিশু সুরক্ষা প্রয়োজনীয়তা কি ?
শিশু সুরক্ষা প্রয়োজনীয়তা:
শিশুদের নিরাপদ ও সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আইনি নিরাপত্তা:
- জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ: এই আন্তর্জাতিক চুক্তিটি শিশুদের মৌলিক অধিকারের রূপরেখা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে জীবন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং নির্যাতন থেকে মুক্ত থাকার অধিকার।
- শিশু আইন: বাংলাদেশে শিশুদের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন আইন রয়েছে, যার মধ্যে শিশু আইন, ১৯৭৪ এবং শিশু ন্যায়বিচার আইন, ২০০০ অন্তর্ভুক্ত।
শারীরিক নিরাপত্তা:
- নির্যাতন, অবহেলা ও শোষণ থেকে মুক্তি: শিশুদের সকল ধরণের নির্যাতন, অবহেলা ও শোষণ থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন।
- দুর্ঘটনা প্রতিরোধ: শিশুদের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, যেমন বাড়িতে শিশু-নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা এবং যানবাহনে শিশুদের জন্য সিটবেল্ট ব্যবহার নিশ্চিত করা।
- দুর্ঘটনা প্রতিরোধ একটি বিস্তৃত বিষয়, কারণ বিভিন্ন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে, কিছু সাধারণ নীতি মেনে চললে আপনি যেকোনো ধরণের দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে পারেন।
-
সাধারণ দুর্ঘটনা প্রতিরোধের টিপস:
- সচেতন থাকুন: আপনার চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং সম্ভাব্য বিপদগুলি চিহ্নিত করুন।
- ঝুঁকি নিন না: অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি এড়িয়ে চলুন।
- নিয়ম মেনে চলুন: আইন, নির্দেশাবলী এবং নিরাপত্তা প্রবিধান মেনে চলুন।
- প্রস্তুত থাকুন: জরুরী অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকুন এবং জানুন কীভাবে সাহায্য পাবেন।
- সতর্কতা অবলম্বন করুন: যা করছেন তাতে মনোযোগ দিন এবং বিভ্রান্তি এড়িয়ে চলুন।
- সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করুন: যখন প্রয়োজন হয় তখন হেলমেট, সিট বেল্ট এবং অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করুন।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন: কর্মক্ষেত্র এবং বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন যাতে করে পতনের ঝুঁকি কমে।
- নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করুন: যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করুন।
- প্রশিক্ষণ নিন: প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিন যাতে করে আপনি ঝুঁকিগুলি চিহ্নিত করতে এবং সেগুলি এড়াতে পারেন।
-
বিশেষ ধরণের দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য টিপস:
- সড়ক দুর্ঘটনা: সাবধানে গাড়ি চালান, গতি সীমা মেনে চলুন, এবং মদ্যপান করে গাড়ি চালানো এড়িয়ে চলুন।
- কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা: সুরক্ষা নিয়ম মেনে চলুন, সঠিক সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহার করুন, এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়িয়ে চলুন।
- গৃহস্থালীর দুর্ঘটনা: বিপজ্জনক পদার্থ সাবধানে ব্যবহার করুন, আপনার বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন, এবং পতনের ঝুঁকি কমিয়ে দিন।
- দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সকলের ভূমিকা রয়েছে। আমরা সকলেই সচেতন সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং নিরাপদ আচরণ অনুসরণ করে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারি।
- মানসিক নিরাপত্তা:
- ভালোবাসা ও সমর্থন: শিশুদের ভালোবাসা, সমর্থন এবং স্নেহের একটি সুস্থ পরিবেশে বেড়ে ওঠার প্রয়োজন।
- মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন: শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাগুলি সনাক্তকরণ ও চিকিৎসার জন্য সহায়তা পাওয়া উচিত।
শিক্ষা ও উন্নয়ন:
- গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা: শিশুদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ পেতে হবে।
- সুস্থ বিকাশ: শিশুদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং আবেগগতভাবে সুস্থভাবে বিকাশের জন্য সুযোগ তৈরি করা উচিত।
সামাজিক সুরক্ষা:
- গরিব ও বঞ্চিত শিশুদের সহায়তা: গরিব ও বঞ্চিত শিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির সহায়তা প্রয়োজন।
- সামাজিক ন্যায়বিচার: সমাজে শিশুদের প্রতি বৈষম্য ও বিভেদ দূর করা উচিত।
এছাড়াও, শিশুদের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ:
- শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি: শিশু, অভিভাবক, শিক্ষক এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
- শিশু-বান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন: শিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের শিশু-বান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা উচিত।
শিশু-সুরক্ষা
শিশু নিরাপত্তা: সমাজের সকলের দায়িত্ব
শিশুরা আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎ। তাদের সুস্থ, নিরাপদ ও সুন্দর জীবনযাপনের জন্য আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। শিশু নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র সকলেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি।
ব্যক্তিগতভাবে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি:
- শিশুদের অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন: শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকলে আমরা তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আরও সতর্ক থাকতে পারব।
- শিশুদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ: শিশুদের সাথে কথা বলার সময় তাদের সাথে শ্রদ্ধাশীল আচরণ করা উচিত। তাদের মতামত গুরুত্ব সহকারে শোনা উচিত এবং তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা উচিত।
- শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি: আমাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে শিশু নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা উচিত।
- শিশু নির্যাতন বা অপব্যবহারের ঘটনা দেখলে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা: আমাদের যদি কোন শিশু নির্যাতন বা অপব্যবহারের শিকার হয় বলে মনে হয় তাহলে আমাদের উচিত কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে রিপোর্ট করা।
পরিবারে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিতে পারি:
- শিশুদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ: শিশুদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখা এবং তাদের জীবনে কী ঘটছে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এতে তাদের সমস্যা সম্পর্কে জানতে এবং তাদের প্রয়োজনে সাহায্য করতে সুবিধা হয়।
- শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়ম-কানুন তৈরি: পরিবারে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন তৈরি করা যেতে পারে। যেমন, কখন ঘরে ফিরতে হবে, কোথায় যেতে পারবে, ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী নিয়ম মেনে চলতে হবে ইত্যাদি।
- শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে দূরে রাখা: শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে দূরে রাখার জন্য সতর্ক থাকা উচিত। যেমন, অপরিচিত ব্যক্তির সাথে কথা বলতে বা তাদের সাথে কোথাও যেতে নিষেধ করা, রাস্তার পাশে খেলাধুলা করতে না দেওয়া ইত্যাদি।
- শিশুদের জরুরী যোগাযোগের তথ্য সরবরাহ করা: শিশুদের জরুরী যোগাযোগের তথ্য, যেমন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদির নম্বর তাদের কাছে সরবরাহ করা উচিত
বিয়ে সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ,সেবা এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন- 01897927661 Email- info@bibahamedia.com
Odhora madhuri